ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আয়োজন হয় না প্রায় এক দশক হয়েছে। শুধু মাত্র আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টেই দুই দেশের খেলা দেখতে পারে সমর্থকরা। এসিকে আসন্ন এশিয়া কাপ পাকিস্তানের মাটিতে হওয়ায় ভারত সেখানে খেলবে না বলে জানিয়েছে। অপরদিকে ভারতের দেখানো পথে হেটে তারাও আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে চাচ্ছে না। এমন আলোচনা মাঝে উঠে আসে নতুন তথ্য বাতিল হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের এবারের আসর। ফলে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করা নেপালের স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে বড় মঞ্চে খেলার।
হিমালয় কন্যাদের ক্রিকেট রূপকথায় এত দিন শুধু ছিল ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া। এবার ২০২৩ এশিয়া কাপেও জায়গা করে নিয়েছে নেপাল। এসিসি কোয়ালিফায়ার চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলবে তারা। মূল টুর্নামেন্টে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তানের গ্রুপে পড়েছে নেপাল। কিন্তু অষ্টম দেশ হিসেবে এশিয়া কাপে জায়গা করে নেওয়া নেপাল বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ হবে কি? সেটা নির্ভর করছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ওপর।
কারন ওয়ানডে সংস্করণে এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা সেপ্টেম্বর মাসে। তবে ভারত পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজী না হওয়ায় টুর্নামেন্টটি ঝুলে গেছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব আসছে দুই দলের ক্রিকেট বোর্ড থেকে। হাইব্রিড মডেল থেকে শুরু করে ভিন্ন দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন কোনোটিতেই সমাধান মিলছে না। শেষ পর্যন্ত কোথায় আসরটি গড়াবে তা নিয়ে এখনো দেন দরবার চলছে এসিসি ও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে।
তার মাঝে নতুন তথ্য উঠে এসেছে, বাতিল হতে যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। মূলত এই আসরের বদলে পাঁচ জাতি টুর্নামেন্ট খেলতে চায় ভারত। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের এমন চাওয়ার ফলে পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন আর সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সমর্থকরা। ফলে যদি বাদ হয়ে যায় এবারের এশিয়া কাপ, তাহলে হিমালয় কন্যাদের প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলতে আসা স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত চলতি এশিয়া কাপের আসরটি হচ্ছে কি না জানা যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। কারন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এশিয়া কাপ নিয়ে বড় ধরনের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে।