ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট সম্পর্ক যেন দিনে দিনে খারাপের দিকে যাচ্ছে। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের আয়োজন হয় না প্রায় এক দশক হয়েছে। শুধু মাত্র আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টেই দুই দেশের খেলা দেখতে পারে সমর্থকরা। অপরদিকে পাকিস্তান আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভারতে খেলতে চাচ্ছে না, এমন আলোচনা যখন চলমান ঠিকই তখন উঠে এলো নতুন তথ্য। বাতিল হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের এবারের আসর। তবে গণমাধ্যমের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তাদের এক সূত্র বলেছেন, তাঁরা এমন কোনও প্রস্তাব সদস্য দেশগুলোতে পাঠায়নি।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, পিসিবি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ খেলতে রাজি না হলে, দেশ থেকে টুর্নামেন্ট কেড়ে নেওয়া হতে পারে। কেননা ওডিআই ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হতে চলা ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু বিসিসিআই সচিব জয় শাহ, যিনি এসিসির চেয়ারম্যানও, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে না।

এরপর পিসিবি একটি ‘হাইব্রিড মডেল’ অনুসরণ করে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও কাজ হয়নি। ওই মডেল অনুযায়ী পাকিস্তান তাদের ম্যাচগুলি ঘরের মাটিতে খেললেও ভারতে ম্যাচগুলো হতো একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এ নিয়েই দুবাইতে আইসিসির সঙ্গে এসিসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখনে এসিসি বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে বলেন, ‘কথাবার্তা আদান-প্রদান হয়েছে, কিন্তু এশিয়া কাপ স্থগিত করার বিষয়ে কোনও আলোচনা বা প্রস্তাব আনা হয়নি। দ্বিতীয়ত, এশিয়া কাপ বাতিল হলে প্রথমেই পিসিবিকে জানানো হবে। এখনও পর্যন্ত সে রকম কিছুই হয়নি। এসিসি চেয়ারম্যান (জয় শাহ) এখনও এই নিয়ে কিছুই বলেননি।’

সেই সূত্র আরও বলেন, ‘ইভেন্ট স্থগিত বা বাতিল করতে হলে একটি নির্বাহী বোর্ডের সভা ডাকতে হবে। চেয়ারম্যান (জয় শাহ) সাত দিনের মধ্যে সভা ডাকতে পারেন। আজ পর্যন্ত এই ধরনের কোনও সভা সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই।’

অপরদিকে অন্য সমস্যাটি হল টেলিকাস্ট চুক্তিতে সরকারী সম্প্রচারকারীর প্রতিশ্রুতি দেওয়া অর্থের পরিমাণ, যার মধ্যে অন্তত নিশ্চিত ভাবে দুইটি ভারত-পাকিস্তান গেম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দুই দল ফাইনালে উঠলে তৃতীয় খেলাটিও হতে পারে। এ বিষয়ে ওই সূত্র বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মিডিয়া অধিকার এবং স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তির কথা মনে রাখতে হবে, যারা এশিয়া কাপে অন্তত দুটি পাকিস্তান বনাম ভারত ম্যাচের জন্য কয়েক মিলিয়ন অর্থ দিয়েছে।’