জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন গ্রেডভিত্তিক পরিচিতির সঙ্গে পুরোনো শ্রেণিভিত্তিক পরিচিতির সম্পর্ক স্পষ্ট করেছে।
চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সকল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব এবং মহা-হিসাব নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রককে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ৮ অনুযায়ী আপাতত বলবৎ এ সংক্রান্ত অন্য কোনো বিধি-বিধানে যা থাকুক না কেন, কর্মচারীরা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বিভাজনের বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তে বেতনস্কেলের গ্রেড ভিত্তিতে পরিচিত হবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পরিবর্তে ২০টি গ্রেডের উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধানেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৬ তারিখের ২২ মে তারিখের একটি স্মারকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে পূর্ববর্তী বিধি-বিধানের ভিত্তিতে উল্লিখিত ২০টি গ্রেডের মধ্যে পুরাতন প্রথম শ্রেণি হলো গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৯, দ্বিতীয় শ্রেণি হলো গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-১৩ (যেসব পদ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা সম্পন্ন বলে সরকারি আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক সৃষ্টি করা হয়েছে)।
এতে আরও বলা হয়, পুরাতন তৃতীয় শ্রেণি হলো গ্রেড-১৩ (যেসব পদ গেজেটেড পদমর্যাদা সম্পন্ন বলে সরকারি আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখপূর্বক সৃষ্টি করা হয়নি) থেকে গ্রেড-১৬। চতুর্থ শ্রেণি হলো গ্রেড-১৭ থেকে গ্রেড-২০।