বহু বছর পর সৌদি আরব সফরে গেছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এর মধ্যদিয়ে হামাসের সঙ্গে সৌদি আরবের টানাপোড়েন অবসানের পথ খুলে যেতে পারে।
বহু বছর পর গতকাল (সোমবার) হামাসের শক্তিশালী কোনো প্রতিনিধিদল সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীতে পৌঁছান। খবর-পার্সটুডের।
ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো বলছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধিদলে সংগঠনটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান মূসা আবুমারজুক এবং হামাসের বিদেশ শাখার প্রধান খালিদ মাশয়ালও রয়েছেন।
তারা পবিত্র মক্কায় ওমরা পালন শেষে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যু, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব আরব ও মুসলিম দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী।
ফিলিস্তিনের একটি সূত্র জার্মান বার্তা সংস্থাকে বলেছে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এর মধ্যদিয়ে হামাসের সঙ্গে সৌদি আরবের টানাপড়েন অবসানের পথ খুলে যেতে পারে।
২০০৭ সালে ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর হামাসের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতি হয়। সে সময় গাঁজা উপত্যকায় মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলনের সাথে হামাস যোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে ২০১৫ সালে হামাসের শীর্ষ নেতা হিসেবে খালেদ মাশাআল সর্বশেষ সৌদি আরব সফর করেন।
২০১৯ সালে সৌদি আরবে অবস্থানরত হামাসের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে সৌদি সরকার। রিয়াদ সে সময় দাবি করে যে, হামাসের এসব নেতাকর্মী সৌদি শাসন ব্যবস্থার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছেন।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামাসের পক্ষ থেকে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সৌদি নেতাদের কাছে বার্তা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সৌদি কারাগার থেকে মো. আল-খুদারিসহ হামাসের বেশ কয়েকজন নেতাকে মুক্তি দেয়া হয়।