পটুয়াখালীতে ভোজনরসিক মানুষকে ভ্রমণ ও স্বাদের আনন্দ এক সঙ্গে দিতে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ। নিত্য নতুন স্বাদে ও বাহারি খাবারের পসরা সাজানো থাকে ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁটিতে। চাইনিজ খাবারসহ ভিন্নধর্মী সুস্বাদু খাবার নিয়ে এই ভ্রাম্যমাণ খাবার গাড়ির কাছে ভিড় করছে অনেকে। চাইলেই গাড়ির ছাদে বসে খাবার খেতে খেতে উপভোগ করা যাবে ভ্রমণের আনন্দ।

“প্রাইম সুইট এন্ড ফুড” নামে এই ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাবে স্যান্ডউইচ, বার্গার, চিকেন ফ্রাই, জুস, সবজিসহ হরেক রকম ফাস্টফুড। দোতলা বাসের মত দেখতে এই গাড়ির ছাদে এক সঙ্গে ২৫ জন বসতে পারেন। বাহারি খাবারের পসরা নিয়ে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ভ্রাম্যমাণ রেস্তোরাঁ। পথে পথে ঘুরে বেড়িয়ে খাবার প্রেমীদের চাহিদা মেটায় গাড়িটি। কেউ খাবার কিনে নিয়ে যান কেউ সময়-সুযোগ হলে ওখানে বসেই খেয়ে নেন।

খাবার প্রেমী মেহজাবিন স্বর্ণা বলেন, গাড়িতে রেস্টুরেন্ট দেখামাত্রই আমি সেখানে বসে খেয়েছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তাদের লাচ্ছি আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। এমনিতেই আমরা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বসে খেয়ে থাকি তবে দোতলা বাসের উপরে বসে এই প্রথম খাবার পরিবেশন দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ বলেন, শহরের মানুষ একটু বিনোদনের ও ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য অপেক্ষায় থাকে। এই গাড়িটি খাবার প্রেমীদের পছন্দের একটি রেস্তোরাঁয় পরিণত হয়েছে। আমি নিজেও এখানে খেয়েছি এখানকার খাবার খুব মজা। আর পটুয়াখালীতে এই ভ্রাম্যমাণ খাবার গাড়ি প্রথম হওয়ায় সবাই এখানে খেতে আসছে।

খাবার গাড়ি রেস্তোরাঁর মালিক ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক বলেন, পটুয়াখালী শহর অনেক সুন্দর ও নান্দনিকভাবে গড়ে উঠেছে এখানে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ঘুরতে আসে। এইজন্য আমি ব্যতিক্রমী একটি খাবার গাড়ির ব্যবস্থা করেছি যে গাড়িতে বসে মানুষজন তার পছন্দের খাবার খেতে পারবে। এখানে খুব সুন্দর আলোকসজ্জা ও পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশে খাবার পরিবেশন করানো হয়। আশা করছি ভোজনরসিকদের কাছে আমার এই খাবার গাড়ি খুব ভালো লাগবে।