ঘটনা কলকাতার। রাত শেষ হয়ে কেবল ফুটছে ভোরের আলো। হঠাৎ দেখা গেল পুরো বাড়িতে ধোঁয়া। ঘরে আগুন। খবর পয়ে ছুটে এলো ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। আগুন নিভিয়ে ফেরে যায় দমকল।
এ পর্যন্ত মনে হতে পারে অগ্নিকাণ্ডের আর ১০টা স্বাভাবিক ঘটনার মতো একটি ঘটনা এটি। কিন্তু আগুনের পেছনে আসলে ছিল বড় রহস্য।
এই আগুনের ঘটনার কিছু সময় পর থানায় যান ই ফ্ল্যাটের নাবালিকা কিশোরী। সেখানে গিয়ে তার অভিযোগ, তার মা সোনালি চন্দ ও মায়ের বন্ধু প্রসূন মান্না ষড়যন্ত্র করে তাকে খুন করার চেষ্টা করেছে। মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেই সোনালি ভোরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, খুনের ষড়যন্ত্রের সপক্ষে পুলিশের কাছে তুলে ধরে সোনালি ও তার বন্ধুর টেক্সট মেসেজের স্ক্রিনশট নেওয়া প্রিন্ট কপি।
এরপর ওই কিশোরীর মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সোনালির বন্ধুকেও। তবে পুলিশের সন্দেহও হচ্ছিল। ফলে ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুরু থেকেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে থাকে ওই কিশোরী। কিন্তু এক সময় নিজের বয়ানের ফাঁদে পড়ে যায় ওই কিশোরী। অবশেষে পুলিশের কাছে ওই কিশোরী স্বীকার করে নেন মা নন, ঘরে আগুন লাগায় সে নিজেই।
ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, মায়ের মোবাইল ফোনটি ক্লোন করে সে। এরপর মা ও মায়ের বন্ধুর মধ্যে যে টেক্সট মেসেজ হয়েছে তারই ভুয়া টেমপ্লেট তৈরি করে। আর তাতেই চ্যাটগুলো এমন ভাবে লেখা হয় যাতে পুলিশ দেখলেই বিশ্বাস করে ফেলবে। কিন্তু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শেষ রক্ষা হলো না।
পুলিশের ধারণা বাবা-মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন, আলাদা থাকা সমস্ত কিছুর প্রভাব পড়ে থাকতে পারে কিশোরীর মনে। কিশোরীর বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।