ফ্রান্সে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন। পেনশন বিল সংস্কারের বিরুদ্ধে সোমবার (১ মে) মহান মে দিবসে দেশটিতে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল এবং এদিন ফ্রান্সজুড়ে হওয়া সংঘর্ষে এতো বিপুল সংখ্যক আহতের এই ঘটনা ঘটে।

এছাড়া বিক্ষোভের সময় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনাও ঘটে এবং প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক পেনশন সংস্কারে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের সাথে ফ্রান্সজুড়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০৮ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন।

তিনি বলেছেন, ফ্রান্সে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এতো বিশাল সংখ্যক পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এছাড়া সহিংসতার সময় ২৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে মে দিবসের বিক্ষোভে ফ্রান্সজুড়ে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। সোমবারের এই বিক্ষোভের বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ হলেও উগ্রপন্থি দলগুলো এদিন পুলিশের ওপর পেট্রোল বোমা ও আগুন নিক্ষেপ করে।

জবাবে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় পুলিশ। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে কতজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিসাবেথ বোর্ন টুইট করে বলেছেন, কোনও ধরনের সহিংসতা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। তবে এর পাশাপাশি অসংখ্য ফরাসি শহরে বিক্ষোভকারীদের ‘দায়িত্বপূর্ণ আচরণ এবং প্রতিশ্রুতির’ প্রশংসাও করেছেন তিনি।

বিবিসি বলছে, ফ্রান্সে সরকারি পেনশনের বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছরে উন্নীত করার বিষয়ে সাম্প্রতিক যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সে এদিন ৭ লাখ ৮২ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন।

এর মধ্যে রাজধানী প্যারিসেই কেবল বিক্ষোভে নামেন ১ লাখ ১২ হাজার মানুষ। তবে সিজিটি ইউনিয়নের দাবি, বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবিকৃত সংখ্যার চেয়ে তিনগুণ বেশি।